হার্ট ব্লকেজ, কি? কারণ? সমাধান :-
****************************
হার্ট এর ওজন প্রায় 300 গ্রাম।
কাজ :-
*********
পুরো শরীরে ব্লাড পাম্প করা।
হার্ট ১ মিনিটে প্রায় 72 বার পাম্প করে। হার্ট, প্রতিদিন প্রায় 1 লক্ষ বার পাম্প করে থাকে। হার্ট একবার পাম্প করলো মানে পুরো বডি তে ব্লাড পৌঁছে গেলো।
হার্ট এর অসুখ কি :-
*******************
হার্ট এর অসুখ মানে আর্টারি তে চর্বি জমে যাওয়া, কোলেষ্টেরোল জমে যাওয়া, ফ্যাট জমে যাওয়া।
এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে ধীরে ধীরে হার্ট এর ব্লাড সাপ্লাই ক্ষমতা কমে যায়।
এটাকেই বলা হয় হার্টের অসুখ।
বর্তমানে হার্টের অসুখ টি বিশ্বের সব চেয়ে বড় অসুখ।
যেদিন হার্টের ব্লাড সাপ্লাই বন্ধ হয়ে যাবে সেদিন হার্ট টাও বন্ধ হয়ে যাবে, মানে হার্ট এট্যাক হয়ে যাবে।
হার্ট এর আর্টারি গুলো 3-4 mm মোটা হয়।
হার্ট এ ব্লকেজ হতে কত সময় লাগে?
**********************************
বছরের পর বছর ধরে ধীরে ধীরে হার্ট ব্লকেজ তৈরী হয়।
মানুষ জন্মের পর পর ই ব্লকেজ তৈরী শুরু হয় না।
18-20 বছর বয়স থেকে এই ব্লকেজ তৈরী হতে শুরু করে।
70%,80%,90% ব্লকেজ তৈরী হতে কম করে 30-40 বছর সময় লাগে।
50% ব্লকেজ হয়ে গেলেও মানুষ কোনো কষ্ট অনুভব করে না।
কারণ ব্লাড সাপ্লাই এর জন্য আরও 50% বাকি থাকে।
ব্লাড সাপ্লাই এর জন্য হার্ট এর প্রয়োজন 10%,20%,30% জায়গা।
10% প্রয়োজন যখন মানুষ বসে থাকে।
20% প্রয়োজন যখন হাঁটা চলা করে।
30% প্রয়োজন যখন মানুষ দৌড়ায়।
যেদিন মানুষের ব্লকেজ 70% এর বেশি হয়ে যায় সেদিন থেকে মানুষ হার্ট এর সমস্যা অনুভব করতে থাকে। সেদিন থেকে কষ্ট শুরু হয়ে যায়।
* যদি দৌড়ালে বুকে ব্যাথা অনুভব হয় তবে বুঝতে হবে ব্লকেজ 70% ক্রস করেছে।
যদি হাঁটতে গিয়ে ব্যাথা হয় তাহলে বুঝতে হবে ব্লকেজ 80%।
যদি সামান্য 10 ধাপ হাঁটলেই ব্যাথা হয় তবে বুঝতে হবে ব্লকেজ 90%।
*** এখানে বোঝা গেলো হার্ট এর পেশেন্ট 70% ব্লকেজ না হওয়া পর্যন্ত কোনো সমস্যা সাধারণত বুঝতে পারে না।
হাঁটতে গিয়ে ব্যাথা হলে এই পর্যায় কে বলা হয় “এনজাইনা “
2%/year ব্লকেজ তৈরী হতে শুরু করে 20 বছর বয়সের পর থেকে।
*** আমার লিখা পড়ে হার্ট এর অসুখ সম্পর্কে বুঝতে সময় লাগলো মাত্র কয়েক মিনিট, কিন্তু আপনি যদি কোন হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিক যান তাহলে উনারা আপনাকে এতো বিস্তারিত বোঝাবে না, শুধু বলবে আপনার “করোনারী আর্টারি ডিজিজ “এ আক্রান্ত।
আধুনিক উপায়ে ব্লকেজ পরীক্ষা,যেটা ও সঠিক নয় :-
***************************************
আধুনিক যুগের ক্যার্ডিওলোজিস্ট রা ব্লকেজ এর পার্সেন্টেজ বোঝার জন্য তার ঢুকিয়ে এনজিওগ্রাফিক করেন, যেটাতে রেজাল্ট আসে রাউন্ড ফিগার যেমন 70%,80%,90%।
আমাদের মতে যেটা সঠিক নয়। কারণ সঠিক হলে রাউন্ড ফিগার না হয়ে হতো 70.25%,80.03%,90.৮১%।
পেরেছেন।
হার্ট এট্যাক মানে কি?
***********************
70% ব্লকেজ এর পর ধীরে ধীরে ব্লকেজ বাড়তে থাকে।এই ব্লকেজ এর উপর একটা পর্দা থাকে এবং ব্লকেজ বাড়ার সাথে সাথে পর্দা টির উপরেও চাপ তৈরী হতে থাকে।
এই চাপ বাড়তে বাড়তে একদিন হঠাৎ পর্দা টা ছিঁড়ে যায়।
পর্দা ছিঁড়ার সাথে সাথে পর্দার নিচে থাকা কেমিক্যাল রক্তে গিয়ে মিশে যার ফলে রক্তের ঘনত্ব বেড়ে যায়।
রক্ত জমাট বেঁধে গেলে এটাকে বলা হয় “ক্লট”।
এটি আর্টারির রাস্তা পুরো পুরি ব্লক করে দেয়,
ব্লক 100% হয়ে যায়, হার্ট এ রক্ত পৌঁছতে পারে না তখন এটাকেই বলা হয় “হার্ট অ্যাটাক”।
হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচার উপায়:-
**********************************
ব্লকেজ 70%,80%,90% হয়ে গেলেও চেষ্টা করতে হবে ব্লকেজ কে রুখে দেয়া।
ব্লকেজ না বাড়লে পর্দা টা ছিঁড়বে না, হার্ট অ্যাটাক ও হবে না।
আরও ভালো হয় পর্দার নিচে জমে থাকা কিছু চর্বি যদি ধীরে ধীরে বের করে দেয়া যায়।
*** সব শেষে বলবো একমাত্র আয়ুর্বেদ চিকিৎসাই পারে আপনার ব্লকেজ দূর করতে, হার্ট অ্যাটাক এর হাত থেকে রক্ষা করতে।
বেশ কয়েক হাজার রোগী আমাদের আয়ুর্বেদ চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ্য আছেন, হার্ট কে ব্লকেজ এর হাত থেকে রক্ষা করতে